প্যারেন্টিং ফেইলর এড়াবেন যেভাবে
প্রতিটি বাবা-মা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই সর্তক; কিন্তু নিজেদের অজান্তেই তাঁরা প্রিয় সন্তানকে ঠেলে দিচ্ছেন অনিশ্চত ভবিষ্যতের দিকে। ভাবছেন কীভাবে?
আধুনিকতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে মোবাইল, টেব, কম্পিউটার এজাতীয় প্রযুক্তি সন্তানের হাতে ধরিয়ে দেন। ফলে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ে ইউটিউব এবং ভিডিও গেমিংয়ে। দিনশেষে তারা ভয়াবহ মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির স্বীকার হয়। ধীরে ধীরে শিশুদের চিন্তার ব্যাপ্তি হ্রাস পায়। কারণ, ভিডিওতে কোনো ঘটনাকে যত দ্রুত দেখায়, বাস্তবে তত দ্রুত কোনো ঘটনা ঘটে না। ফলে তারা বাস্তবতার সাথে নিজেকে মিলাতে পারেনা এবং বড় হয় একটি খিটখিটে মেজাজ নিয়ে; তাদের মনোজগতে ভর করে রাজ্যের অতৃপ্তি।
শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন একটি পরিবেশ উপহার দিতে হবে যেখানে সে এক্সফ্লোর করতে শিখবে, ক্রিটিক্যাল থিংকিং শিখবে, অর্জন করবে আত্মবিশ্বাস। আপনি যদি তাকে এমন সৃজনশীল পরিবেশ উপহার দিতে না পারেন তবে নিশ্চয়ই প্যারেন্টস হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতা।
প্যারেন্টিংয়ের ফেইলর এড়াতে শিশুর জন্য নিশ্চিত করতে হবে একটি সৃজনশীল পরিবেশ। এক্ষেত্রে তাকে দিতে পারেন বাস্তবধর্মী সমস্যা সমাধান করে, ক্রিয়েটিবিটি বাড়ায় এমন খেলনা। তবে খেলনা বাছাই করাও কিন্তু একটি বড় ব্যাপার; কারণ খেলনা বাছাইয়ে ভুল করলে কাজের কাজ কিছুই হবেনা। খেলনা বাছাই করতে হয় বয়স অনুযায়ী।