২১ বছর পর যেভাবে ক্ষমতায় ফিরল আওয়ামী লীগ
১৯৯০ সালের মাঝামাঝি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আবারও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ।
সে সময় তিনটি রাজনৈতিক জোট এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছিল । নভেম্বরে তিন জোট যৌথভাবে একটি রূপরেখা ঘোষণা করে ।
এই রূপরেখায় একটি অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং এর অধীনে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয় । আন্দোলনের মুখে এরশাদ তিন জোটের মনোনীত প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেন ।
এরপর এরশাদ পদত্যাগ করেন । ৭ ডিসেম্বর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন ।
উপদেষ্টাদের নিয়ে তিনি একটি সরকার গঠন করেন । লক্ষণীয় হলো, সংবিধানে তখন ‘অস্থায়ী’ বা ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকার বলে কিছু ছিল না ।
কিন্তু রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে সব দল ও দেশের মানুষ এর প্রয়োজন অনুভব করেছিল এবং মেনে নিয়েছিল । জাল ভোট, কারচুপি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের কারণে এরশাদ আমলে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল ।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এবং তাঁর সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন । এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা ।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । ৭৫টি দল এ নির্বাচনে অংশ নেয় ।
প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৮৭ । ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ।
অপরদিকে বিএনপির প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্ব পেয়েছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ । দুটি দলের পক্ষ থেকেই রেডিও-টেলিভিশনের স্বায়ত্তশাসন, গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ।
এ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে বিএনপি ১৪০টি, আওয়ামী লীগ ৮৮টি, জাতীয় পার্টি ৩৫টি এবং জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসন পায় । জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে বিএনপি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ।
এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ । দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের মতে, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ।
একই সঙ্গে এ নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ । তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক অদৃশ্য শক্তির গোপন আঁতাতের মাধ্যমে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে ।
’ অপরদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দরভাবে হয়েছে । ’ বেশির ভাগ জরিপে আওয়ামী লীগের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হলেও নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিএনপি বিজয়ী হওয়ায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন ।
নির্বাচনের এমন ‘অপ্রত্যাশিত’ ফলাফল নিয়ে বিএনপি: সময়-অসময় বইয়ে মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, ‘এটা ছিল জনমনে আওয়ামী লীগের একটি বিকল্প খোঁজার চেষ্টা । এখানে দুটো বিষয় যুগপৎ কাজ করেছে ।
প্রথমত, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা ও প্রচারণা । দ্বিতীয়ত, সজ্ঞানে কিংবা অবচেতন মনে জনগোষ্ঠীর একটা বিরাট অংশের মধ্যে জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি এবং “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” সম্পর্কে অস্পষ্ট হলেও একধরনের পক্ষপাত ।
’ এ ছাড়া এরশাদবিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়ার ‘আপসহীন’ ভূমিকা এ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে অনেকে মনে করেন । একটি অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বাংলাদেশে এর আগে অনুষ্ঠিত যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ।
ভোটার উপস্থিতি, প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা নির্বাচনী পরিবেশ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য । দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ ভোটের ওপর তাদের আস্থা ফিরে পেয়েছিল ।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন করা হয় । ২১ মার্চ শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন ।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করার একটি সুযোগ এসেছিল । সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতির বদলে সংসদীয় পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার ঘটনায় অনেকে বেশ আশাবাদীও হয়েছিলেন ।
কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বিরোধী দলগুলো সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে । ১৯৯৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সংসদে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানায় ।
১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এক জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করব । ’ ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিরোধী দলগুলো একযোগে সংসদ বর্জন করে ।
সংসদ বর্জন চলাকালীন ২০ মার্চ মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে ।
সব কটি বিরোধী দল নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, বিএনপির অধীন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই । মাগুরা উপনির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন জোরদার হয় ।
১৯৯৪ সালের ২৪ জুন বিরোধী দলগুলো সংসদ ভবনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে । কিন্তু ক্ষমতাসীন বিএনপি বিষয়টি আমলে নেয়নি ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো সংসদ বর্জনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখে । ২৪ নভেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় । আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ বেশির ভাগ বিরোধী দল বিএনপি সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন বর্জন করে ।
তবে বিএনপিসহ ৪২টি দল নির্বাচনে অংশ নেয় । প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৫০ ।
এ নির্বাচনে বিএনপি ২৭৮টি আসন পায় । এর মধ্যে ৪০ জনের বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ।
এ ছাড়া ফ্রিডম পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি আসন পেয়েছিলেন । ‘ভোটারবিহীন’ বিতর্কিত এ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় ।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে ভোট প্রদানের হার ছিল ২৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ । পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মতে, এটা ১০ শতাংশের বেশি ছিল না ।
‘একতরফা’ এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রধান যুক্তি ছিল সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ‘রক্ষা’ করা । এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান তাঁর ইলেকশনস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ বইয়ে বলেছেন, নির্বাচনটি হয়তো সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করেছে এবং এর মাধ্যমে বিএনপি সরকার আইনি বৈধতা পেয়েছে ।
কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় তা গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না । দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর তা সত্যি বলে প্রমাণিত হয় ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন জোরদার হয় । ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে বিরোধী দলগুলো হরতাল ও অসহযোগের মতো আন্দোলন চালাতে থাকে ।
সরকারি কর্মচারীদের একাংশ এতে যুক্ত হয় । এর ফলে প্রশাসনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে যায় এবং বিরোধীদের আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে ।
১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয় এবং ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে । তীব্র আন্দোলনের মুখে ২১ মার্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল উত্থাপন করা হয় ।
২৬ মার্চ গভীর রাতে সেই বিল পাস হয় । আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর দাবি ও আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হলেও বিষয়টি নিয়ে তখন সব দলের মধ্যেই একটা রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল ।
তা ছাড়া নাগরিক সমাজের বড় অংশ এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল । এ রকম অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সংসদ ভেঙে দেন এবং তিনি নিজেও পদত্যাগ করেন ।
এরপর ৩১ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস সদ্য পরিবর্তিত সংবিধান অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন । তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি সাদেক পদত্যাগ করেন ।
মোহাম্মদ আবু হেনাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরও নতুন দুজন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয় । বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ‘উৎসবমুখর’ পরিবেশে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
মোট ৮১টি দল এতে অংশ নেয় । প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৭৪ ।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসন পায় । অপরদিকে বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি এবং জামায়াতে ইসলামী ৩টি আসন পায় ।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ, যা আগের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে বেশি । এ নির্বাচন ছিল যেমন অংশগ্রহণমূলক, তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলে স্বীকৃতি দেয় । বিজয়ী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ।
বিএনপি প্রথম দিকে ফলাফল মেনে না নেওয়ার কথা চিন্তা করলেও পরে তা মেনে নেয় । ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে আসে আওয়ামী লীগ ।
এ নির্বাচনে দলটির জয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতাই প্রমাণ করেছিল । বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে যে জটিলতা ছিল, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে তার একটি স্থায়ী সমাধান সম্ভব হয়েছে—সেই সময় অনেকেই এমন ধারণা করেছিলেন ।
সূত্র: ১. মহিউদ্দিন আহমদ, বিএনপি: সময়-অসময় , প্রথমা ২. মো. আব্দুল মান্নান, ইলেকশনস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ , একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি ৩. নেসার আমিন সম্পাদিত বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ও ফলাফল , ঐতিহ্য ।