Header Ads

আরেক অনিন্দ্য সুন্দর শৈল শহর এল্লায়

নুয়েরা এলিয়া থেকে এল্লায় এসেই হোস্টেলে চেক ইন করে চলে গেলাম শ্রীলংকার এল্লার অন্যতম আইকন নাইন আর্চ ব্রীজ দেখতে। নাইন আর্চ বিশিষ্ট ব্রীজের কারনে ই এই নাম। আমার রুমমেট নিউজিল্যান্ডের এক টা মেয়ে, ওকে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে যাব। ও বললো ও হেটেই গেছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা। তাই ভাবলাম দেখি হেটে যেতে পারি কিনা।

হোটেলের রিসেপশনিস্ট এর কাছে বলাতে সে এক টা টুক টুক ওয়ালা নিয়ে এলো আসা যাওয়া চাইল ৩০০০/ টাকা আমি ২৫০০/ বললাম রাজী হোল না। নিজেই ভাবলাম একাই যাব। কিছুদুর হেটে খুব ই টায়ার্ড লাগাতে এক টুক টুক পেয়ে ১৫০০/ রুপিতে আসা যাওয়া ঠিক করে চলে গেলাম। টুক টুক যেখানে নামাল সেখান থেকে সরু ঢালু মাটির রাস্তা নেমে গেছে। ওরে আল্লাহ রে বৃষ্টি ও নেমে এল, সেই পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে আস্তে আস্তে নেমে যাচ্ছি। পেছনে তাকিয়ে দেখি আমার টুক টুক ওয়ালা ও আসছে।


একা সিনিয়র এক জন নারী ট্রাভেলারের জন্য সম্মান আর সাহায্যের হাত সর্বত্র পেয়েছি।
সে হাটছে আর আমাকে বলছে সাবধানে যেন নামি।

এই ব্রীজ টা ৩০০ফিট লম্বা ২৫ ফিট চওড়া আর ৮০-১০০ফিট উঁচু।ব্রিটিশ কলোনিয়াল সময়ের এক টি অন্যতম স্থাপনা এটি। ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার দের তৈরি এই ব্রীজ টা এখোনও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে ।

২০ শতকের শুরুর দিকের এক অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং আর্কিটেকচারাল নিদর্শন।
এটা এল্লা এবং ডেমোদারা স্টেশনের মাঝে পাহাড় ও জংগলের মধ্যে গর্ব ভরে তার আভিজাত্যপূর্ণ অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।
এর আরেক নাম Bridge on the sky কারন বাদুল্লা এবং কলোম্বোর মধ্যে রেল লাইন নির্মান হলে এই ব্রীজ টা দুইটা বিশাল পাহাড় কে যুক্ত করেছে। পাহাড় আর সবুজ জংগল ঘেরা প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত এই প্রাচীন নান্দনিক স্থাপত্য দেখতে প্রচুর পর্যটক আসে তাই এটি এল্লার এক টা মাস্ট ভিজিট জন প্রিয় টুরিস্ট স্পট।আমার দেখার আগ্রহ দুর্দমনীয় তাই ধনুক ভাংগা পণ করে যেয়েই ছাড়লাম। বৃষ্টির মধ্যে ছবি ভালো হয় নি তবু পোস্ট করলাম।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.