Header Ads

হাকালুকি হাওড়

গতকাল মনে অনেক আনন্দ নিয়ে আমি, আমরা চারজন পরিযায়ী পাখি দেখতে হাকালুকি হাওড়ে যাই। গতবারের মত এবার ও অনেক পরিযায়ী হাঁস এসেছে। হাওড়ে এখনো অনেক পানি তাই ডুব দিয়ে খুঁজে খাওয়া হাঁস গুলিই বেশি দেখা গেছে।

যারা হাওড়ের শ্যওলা খেতে ভালোবাসে তারা এখনও আসেনি। বিভিন্ন ফ্লকে মিলে ১০ থেকে ১৫ হাজার (আনুমানিক) হাঁস তো হবে। ছবি তুলতে তুলতে আমাদের নজরে পরলো অনেক হাঁস মরে পরে আছে। তার পর থেকে আনন্দ আর আনন্দ থাকলো না, বিষাদে পরিণত হয়ে গেলো।

প্রথম লটে ১৬টি হাসঁ মরা পেয়ে সুলতান আহমেদ ভেবেছিলো ইনফ্লুয়েঞ্জার কারনে ওদের মৃত্যু হতে পারে। তাই সংক্রমন হওয়ার আগেই আমরা দাফন করে ফেলি। পরের লটে আর ১১টি হাঁস খুঁজতে গিয়ে আমরা দানাদার বিষের পেকেটের সন্ধান পাই। বুঝতে আর বাকি থাকলো না হাঁসগুলো বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পরে লোকাল মানুষদের সাথে আলাপকালে জানা যায় বিষ দিয়ে পাখী মারা ওদের রোজকার কাজ। এর পর জবাই এর নাটক করে বস্তা বন্দি করে সিলেট অঞ্চলের সব হোটেল গুলিতে সাপ্লাই দেয়।

আপনার যারা সিলেটে গিয়ে পাখির মাংস খেতে ভালোবাসেন তারা জেনে নেন আপনারা প্রতিনিয়ত বিষের টোপ দিয়ে মারা পাখির মাংস খাচ্ছেন। আপাত দৃষ্টিতে দুই টুকরা পাখির মাংসের বিষ আপনার শরীরে হজম হয়ে যেতে পারে, কিন্তু এই বিষ আপনার লিভার এবং কিডনীতে জায়গা দখল করে নিচ্ছে আর আপনি হস্পিটালের বিল ভরছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.