সৌদি আরবে সোনার নতুন খনি পাওয়া গেছে
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে আবারো সন্ধান পাওয়া গেল নতুন একটি সোনার খনির। যার অবস্থান পবিত্র মক্কা নগরীর নিকটবর্তী। ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সোনার খনির ঘোষণা দেয় সৌদি এরাবিয়ান মাইনিং কোম্পানী মাদেন। এক বিবৃতিতে তারা জানায় সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলের একাধিক স্থানে সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। 2022 সালে সোনার নতুন খনির সন্ধানে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অনুসন্ধান চালায় কোম্পানিটি। এরপর এ বছরের (২০২৩) শেষের দিকে এই সাফল্য অর্জন করে। নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায় সেখানে রয়েছে উচ্চমানসম্পন্ন সোনা। জরিপের ফলাফলে সাফল্য লাভ করায় কোম্পানিটির 2024 সালে মানসুরা মাসালা এলাকা ঘিরে ব্যাপক খনন কাজ চালানোর পরিকল্পনা নেয়।
গত অক্টোবরে কোম্পানীটি দ্বিগুণ অনুসন্ধান করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কোম্পানীটি এর আগে 2012 সালে তিন লক্ষ 23 হাজার কেজি স্বর্ণ, বিপুল পরিমাণে তামা সৌদি আরবে পেয়েছিলো। সৌদি আরব এতদিন পেট্রোলিয়াম বা তরল সোনার উপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটি এই সোনার নতুন খনির পর দেশের অর্থনীতিতে নতুন জোয়ার আসবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার।
বিশ্বজুড়ে সোনা উত্তোলনের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। যার মধ্যে একটি হলো হার্ডরক মাইনিং। এটি হলো সেই পদ্ধতি যা ব্যবহার করে বেশিরভাগ সোনার খনি খনন করা হয়। এই পদ্ধতিতে ড্রিল করার মাধ্যমে প্রায় ৪০ ফুট গভীর এবং ১৬ থেকে ২২ ফুট চওড়া গর্ত করা হয়। এরপর সেখানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে এরপর ভেঙে যাওয়া পাহাড়গুলি থেকে সোনার আকরিক আছে কিনা চিহ্নিত করা যায়। এর মাধ্যমে আকরিক গুলি কে ছোট ছোট খন্ডে ভাঙ্গা হয়। পরবর্তী ধাপে শক্ত পাথর থেকে সোনা আলাদা করতে ব্যবহার করা হয় সোডিয়াম সায়ানাইড। এর প্রক্রিয়াকে বলা হয় লিচি। লিচি এর মাধ্যমে সংরক্ষণ সোনা দিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ ধরনের কাদা। কাদা পাঠানো হয় একটি পরিশোধন চুল্লিতে। যেখানে অন্যান্য যে কোন ধাতব ও উপাদান থেকে সোনা এবং রুপা আলাদা করতে গরম করা হয়। এর ফলে সোনা-রুপার মিশ্রণ তৈরি হয়। খাঁটি সোনা পেতে আকৃতি গুলোকে আবার পাঠানো হয় একই বিশেষে শোধনাগারে।
এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত বালি এবং নুড়ি পাথরের সাথে মিশে থাকা সোনা ধীরে ধীরে আলাদা করা হয়। অপরদিকে গোল্ড ডাইনিং হল এমন আরেকটি একটি পদ্ধতি। ২০৩০ সালের আগে খনিজ তেলের উপর নির্ভরতা কমানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছেন সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এবার সোনার খনির সন্ধান পাওয়ার পর সেই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।